LAST UPDATE - JANUARY 2022


প্রসেসর কি


প্রসেসর হচ্ছে স্মার্টফোন কিংবা অন্যান্য কম্পিউটার ডিভাইস গুলোতে থাকা এক প্রকার গুরুত্বপূর্ণ ( সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ) HARDWARE যা ব্যবহারকারীর থেকে ইনপুট গ্রহণ করে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আউটপুট প্রদান করে । আজকালকার কম্পিউটার ডিভাইস গুলো প্রসেসরের উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয় । এজন্যই আজকালকার কম্পিউটার ডিভাইস গুলোকে প্রসেসর নির্ভর বলা হয়ে থাকে । মূলত প্রসেসরই কম্পিউটারের সমস্ত কার্য সম্পাদন করে থাকে ।



চিত্র : PROCESSOR | PHOTO BY JEREMY WATERHOUSE FROM PEXELS


মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে যেমন মস্তিষ্কের গুরুত্ব সর্বাধিক তেমনিভাবে , প্রসেসর হচ্ছে কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ HARDWARE . কম্পিউটারের প্রসেসর মানুষের মস্তিষ্কেরই নামান্তর ।

অনেকেই প্রসেসরকে কম্পিউটারের প্রাণ বলে থাকে । এটি একেবারেই অযৌক্তিক । কেননা কম্পিউটারের HARDWARE গুলো মানুষের শরীরের অঙ্গ - প্রত্যঙ্গের সদৃশ ।

মানুষ যা করে তা মস্তিষ্কের আদেশেই করে কিংবা মস্তিষ্ক নিজেই করে থাকে । কিন্তু কাজগুলো করে হাত - পা কিংবা অন্যান্য অঙ্গ - প্রত্যঙ্গের সাহায্যে । তেমনিভাবে প্রসেসর ব্যবহারকারীর ইনপুটকে প্রক্রিয়াকরণ করে কম্পিউটারের বিভিন্ন HARDWARE এর সাহায্যে আউটপুট প্রদান করে । এখানে প্রসেসর মানুষের মস্তিষ্কের ভূমিকাই পালন করে । অতএব , মানুষের অঙ্গ - প্রত্যঙ্গকে যেমন মানুষের প্রাণ বলাটা অযৌক্তিক তেমনিভাবে প্রসেসরকে কম্পিউটারের প্রাণ বলাটাও অযৌক্তিক ।



চিত্র : ARTIFICIAL INTELLIGENCE


সাধারণত আজকালকার কম্পিউটার গুলোতে একের অধিক ( একাধিক ) প্রসেসর সংযুক্ত থাকে । প্রসেসরের অপর নাম CPU বা CENTRAL PROCESSING UNIT . তবে বর্তমান সময়ের কম্পিউটার মাদারবোর্ড গুলোতে GPU বা GRAPHICS PROCESSING UNT নামের আরেক ধরনের প্রসেসর সংযুক্ত থাকে । GPU হচ্ছে CPU এর একটি আধুনিক ( ADVANCE ) সংস্করণ ।


প্রসেসরের কার্য পদ্ধতি


প্রসেসরের কার্য পদ্ধতি নিম্নে তথ্য ছকের মাধ্যমে দেখানো হলো :



চিত্র : প্রসেসরের কার্য পদ্ধতি


প্রসেসর এর কাজ হচ্ছে কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম এবং কম্পিউটারের HARDWARE এর মধ্যে যোগাযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া । প্রসেসর মূলত ব্যবহারকারীর ইনপুটকে প্রক্রিয়াকরণ করে আউটপুট প্রদান করে । যেমন : গান শোনা , গ্যামস খেলা , মুভি দেখা ইত্যাদি । কম্পিউটারের সকল কাজ কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ তথা প্রসেসরই করে থাকে ।


প্রসেসরের প্রকারভেদ


কাজের উপর ভিত্তি করে প্রসেসরকে চার ভাগে ভাগ করা যায় । যথা :

  • মাইক্রো প্রসেসর
  • মাইক্রো কন্ট্রোলার
  • এমবেডেড প্রসেসর
  • ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসর


তবে আমাদের কম্পিউটার ( মাইক্রো কম্পিউটার কিংবা মোবাইল কম্পিউটার ) গুলোতে যেহেতু মাইক্রো প্রসেসর ব্যবহৃত হয়ে থাকে তাই , আমরা মাইক্রো প্রসেসর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার চেষ্টা করব ।


মাইক্রো প্রসেসর


মাইক্রো শব্দের অর্থ ছোট । শুরুতে যেসব ইলেকট্রিক্যাল কম্পিউটার আবিষ্কৃত হয় তা রাখার জন্য প্রয়োজন হতো বিশাল এক হল রুমের । তার প্রধান কারণ ছিল কম্পিউটারের বিশাল যন্ত্রাংশ । বিশাল এই কম্পিউটারকে ছোট করার প্রচেষ্টার ভিত্তিতেই মাইক্রো প্রসেসর উদ্ভাবনের সূচনা হয় ।

1971 খ্রিষ্টাব্দে INTEL CORPORATION সর্বপ্রথম মাইক্রো প্রসেসর উদ্ভাবন করে । মাইক্রো প্রসেসর মূলত অসংখ্য INTEGRATED CIRCUIT বা IC এর সমন্বয়ে গঠিত এক প্রকার HARDWARE .


প্রসেসরের গঠন


মাইক্রো প্রসেসর বিভিন্ন অংশের সমন্বয়ে গঠিত । যথা :

  • CONTROL UNIT
  • CACHE MEMORY
  • ARITHMETIC LOGIC UNIT
  • REGISTER
  • BUSES
  • CLOCK


ক্লক স্পীড


একটি প্রসেসর কতটা দ্রুত কাজ করবে তা নির্ভর করে প্রসেসরের CLOCK SPEED এর উপর । একটি প্রসেসর প্রতি সেকেন্ডে কতটি কাজ সম্পন্ন করতে পারে তাই হচ্ছে তার CLOCK SPEED . সাধারণত দুইভাবে CLOCK SPEED মাপা হয় । যথা :

( i ) MHz বা 1 MILLION CYCLES PER SECOND
( ii ) GHz বা 1 THOUSAND MILLION CYCLES PER SECOND


প্রসেসরের কোর


একটি প্রসেসর কতটা কার্য ক্ষমতাসম্পন্ন তা নির্ভর করে প্রসেসরের কোরের উপর ।

উদাহরণ স্বরূপ : মনে করুন আপনি একটি দুতলা বাড়ি করবেন । এক্ষেত্রে একজন কর্মীকে দিয়ে বাড়িটি তৈরি করতে অনেক সময় ব্যয় হবে এবং সে কাজটি সম্পন্ন নাও করতে পারে । কিন্তু সেখানে যদি 30 জন কর্মী একত্রে কাজ করে তাহলে খুব দ্রুত এবং নিপুণ ভাবে কাজটি সম্পন্ন হবে ।

এখানে প্রসেসরের কোর এক বা একাধিক মানুষেরই ভূমিকা পালন করে । তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রসেসরে যত বেশি কোর থাকবে কম্পিউটার ডিভাইসটি ঠিক তত বেশি কাজ একসাথে সম্পন্ন করবে ।

কার্যক্ষমতা এবং কোরের উপর ভিত্তি করে মাইক্রো প্রসেসরকে ছয় ভাগে ভাগ করা যায় । যথা :

SINGLE CORE PROCESSOR : এই ধরনের প্রসেসরে মাত্র একটি কোর সংযুক্ত থাকে । যার ফলে মাল্টি টাস্কিং সুবিধাজনক নয় । বর্তমান সময়ে এই প্রসেসর সংযুক্ত কম্পিউটার ডিভাইস খুঁজে পাওয়া বিরল ।

DUAL CORE PROCESSOR : এই ধরনের প্রসেসরে দুটি কোর সংযুক্ত থাকে । অর্থাৎ , এই ধরনের প্রসেসরে দুটি প্রসেসিং ইউনিট থাকে । যার ফলে এটি SINGLE CORE PROCESSOR এর থেকে অনেক দ্রুত কাজ করতে পারে । তবে আজকাল এই ধরনের প্রসেসর খুব কম ব্যবহৃত হয় ।

QUAD CORE PROCESSOR : এই ধরনের প্রসেসরে চারটি কোর সংযুক্ত থাকে । এটি DUAL CORE PROCESSOR এর থেকে অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন ।

HEXA CORE PROCESSOR : এই ধরনের প্রসেসরে ছয়টি কোর সংযুক্ত থাকে ।

OCTA CORE PROCESSOR : এই ধরনের প্রসেসরে আটটি কোর সংযুক্ত থাকে । এটি MULTIPROCESSOR ARCHITECTURE এর সাহায্যে ডিজাইন করা হয়েছে । এটি খুব উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর । সাধারণত আজকালকার স্মার্টফোন গুলোতে OCTA CORE PROCESSOR ব্যবহার করা হয় ।

DECA CORE PROCESSOR : এই ধরনের প্রসেসরে দশটি কোর সংযুক্ত থাকে । এটিই সবচেয়ে ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর ।


জেনারেশন


আমরা জানি প্রসেসর অসংখ্য IC বা INTEGRATED CIRCUIT এর সমন্বয়ে তৈরি । আবার এই IC গুলো TRANSISTOR , RESISTOR , DIODE এবং CAPACITOR এর সমন্বয়ে তৈরি । একটি প্রসেসরে কয়েক কোটি TRANSISTOR ব্যবহার করা হয় ।

প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলো প্রতি দুই বছর অন্তর নতুন TRANSISTOR উদ্ভাবন করে ফেলে যা আগের তুলনায় অনেক বেশি ছোট এবং অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন । নতুন এই TRANSISTOR দিয়ে প্রসেসর তৈরি করে বাজারজাতকরণ করা হয় প্রসেসরের জেনারেশন হিসেবে ।

নতুন জেনারেশনের প্রসেসর গুলো আগের তুলনায় অনেক বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং কম্পিউটার ব্যবহারের সময় গরম কম হয় । এজন্য কম্পিউটার ডিভাইস ক্রয়ের সময় নতুন জেনারেশনের প্রসেসর নেওয়াটাই শ্রেয় ।


FSB


FSB এর পূর্ণ রূপ ফ্রন্ট সাইড বাস । প্রসেসর RAM এর সাথে কতটা দ্রুত ডেইটা ট্রান্সফার ( আদান - প্রদান ) করছে সেটাই হচ্ছে প্রসেসরের FSB . তবে বর্তমান সময়ের প্রসেসর গুলোতে FSB এর পরিবর্তে QPI ব্যবহার করা হয় । যা FSB এর থেকে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ।


ক্যাশ মেমোরি


প্রসেসরের কার্য সম্পাদনের জন্য দুই ধরনের স্টোরেজ ডিভাইস ব্যবহৃত হয় । এই স্টোরেজ ডিভাইস গুলো প্রসেসরের সাথেই সংযুক্ত থাকে । যার মধ্যে ক্যাশ অন্যতম । এটি অত্যন্ত দ্রুতগতি স্টোরেজ ডিভাইস এবং ব্যয়বহুল ।

ক্যাশ মেমোরির আকার যত বেশি হবে প্রসেসর তত দ্রুত গতিতে কাজ করবে । সাধারণত আজকালকার কম্পিউটার গুলোতে 2 , 4 , 6 এবং সর্বোচ্চ 8 MEGA BYTE এর ক্যাশ মেমোরি ব্যবহার করা হয় ।


প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান


জনপ্রিয় প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :

  • INTEL
  • AMD
  • QUALCOMM
  • MEDIATEK
  • SAMSUNG
  • IBM
  • HUAWEI
  • NVIDIA


প্রভৃতি । তবে ডেস্কটপ , ল্যাপটপের ক্ষেত্রে INTEL অথবা AMD এবং স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে QUALCOMM বা MEDIATEK অধিক ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ।

[ অসম্পূর্ণ - DEVELOPER SUGGESTION LLC এই ব্লগটি অসম্পূর্ণ হিসেবে গণ্য করছে এবং দ্রুত এটি সম্পূর্ণ করতে কাজ করছে । ]


© DEVELOPER SUGGESTION LLC