কম্পিউটার আবিষ্কারের ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং সুদীর্ঘ । প্রাচীন কালে মানুষ সংখ্যা গণনার জন্য ঝিনুক , নুড়ি , দড়ির গিট , পশুর হাড় , গাছের বাকল ইত্যাদি ব্যবহার করত ।


[ প্রাচীন কালে দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে গণনার কাজে হাড়ের ব্যবহার পাওয়া যায় । এছাড়াও ' ইসাঙ্গো হাড় ' নামক আরেক ধরনের গণনার সরঞ্জাম পাওয়া যায়  । এই হাড়ের গায়ে কয়েকটি খাঁজের সেটের মত প্যাটার্ন দেখা যেত যা দেখতে অনেকটা ট্যালির মতো । অনেকের ধারণা মতে এগুলো চন্দ্রভিত্তিক দিনপঞ্জি হিসেবে ব্যবহার হতো । ]


পরবর্তীতে গণনার কাজে বিভিন্ন সময়ে মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে । গণনার কাজকে সহজ করার এই প্রচেষ্টাই আজকের বিষ্ময়কর কম্পিউটার ।


আরো পড়ুন : কম্পিউটার কি ? কম্পিউটারের প্রকারভেদ ।




চিত্র : MICRO COMPUTER


আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে আনুমানিক 2700 খ্রিষ্টপূর্ব - 2400 খ্রিষ্টপূর্বাব্দে মানুষ গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য অ্যাবাকাস ব্যবহার করত । যা আবিষ্কৃত হয়েছিল ব্যাবিলনে । পরবর্তীতে খ্রিষ্টপূর্ব 500 - 450 অব্দে চীনে অ্যাবাকাস জনপ্রিয়তা লাভ করে । গণনার কাজে অনেক দেশে  এখনো অ্যাবাকাস ব্যবহৃত হয় ।



চিত্র : ABACUS


এভাবেই কেটে যায় প্রায় দুই হাজার বছর । এই সময়ে গণনার কাজকে সহজ করার উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন লক্ষণীয় নয় । 


[ অসম্পূর্ণ - ইতিহাস অতীতের এক জঘন্যতম অধ্যায় । এখান থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নাম উঠে গেছে । আবার এমন অনেক নাম জুড়ে গেছে যাদের কোন অবদান লক্ষণীয় নয় । মধ্যযুগে সবক্ষেত্রেই মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান অনস্বীকার্য । তবুও ইতিহাসের অনেক অংশে তাদের নাম নেই । ইনশাআল্লাহ , আমরা খুব দ্রুত সেই ইতিহাস টুকু এই ব্লগে যুক্ত করব । ]


16 শতকে স্কটল্যান্ডে জন্ম হয় গণিতবিদ জন নেপিয়ারের । সতেরো শতকে জন নেপিয়ার লগারিদম পদ্ধতি আবিষ্কারের পর তৎকালীন বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্নরকম গণনাযন্ত্র উদ্ভাবনের আগ্রহ দেখান । জানা যায় 1616 খ্রিস্টাব্দে , তিনি সংখ্যা গণনার কাজে ছাপা বা দাগ কাটা দন্ড ব্যবহার করতেন । যা নেপিয়ারের অস্থি বা নেপিয়ার বোন হিসেবে পরিচিত ।



চিত্র : NEPIAR'S BONE


1624 খ্রিস্টাব্দে ভিলহেম স্কিকার্ড নামক একজন জার্মান  প্রফেসর নতুন এক ধরনের একটি ক্যালকুলেটিং মেশিন তৈরি করেন । 


মূলত গণনার কাজকে সহজ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল । 1642 খ্রিস্টাব্দে 19 বছর বয়সী এই ফরাসি বিজ্ঞানী যান্ত্রিক ক্যালকুলেটার আবিষ্কার করেন । তার যন্ত্রের সাহায্যে দাঁত যুক্ত চাকা বা গিয়ার ঘুরিয়ে যোগ - বিয়োগ সমাধান করা যেত । 1671 খ্রিস্টাব্দে জার্মান গণিতবিদ গটফ্রাইড ভন লিবনিজ ব্লেইজ প্যাসকেলের যন্ত্রের ভিত্তিতে উন্নত যান্ত্রিক ক্যালকুলেটার বা রিকেনিং যন্ত্র উদ্ভাবন করেন । যার সাহায্যে যোগ - বিয়োগ সহ গুন - ভাগের সমাধান করা যেত ।



চিত্র : BLISE PASCAL এর যান্ত্রিক CALCULATOR


চিত্র : RECHENING MACHINE






1801 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ ( একজন ইংরেজ গণিতবিদ , প্রকৌশলী , দার্শনিক  ) একটি স্বয়ংক্রিয় গণনা যন্ত্র তৈরির চেষ্টা করছিলেন । ব্যাবেজ এমন একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করার চেষ্টা করেছিলেন , যাতে পাঞ্চকার্ডের মাধ্যমে ইনপুট প্রদান করা হবে । আর ইনপুট ধারণের জন্য যন্ত্রটিতে স্মৃতির ব্যবস্থা , প্রক্রিয়াকরণের জন্য গাণিতিক অংশ এবং স্বয়ংক্রিয় আউটপুট মুদ্রণের ব্যবস্থা থাকবে । তিনি যন্ত্রটির নাম এনালিটিক্যাল এঞ্জিন ঘোষণা করেন । যার ফলে সমসাময়িক বিজ্ঞানীদের কাছে তিনি উপহাসের পাত্র হয়েছিলেন ।


1820 খ্রিস্টাব্দে টমাস ডি কোমার রিকেনিং যন্ত্রের পরিমার্জন করে গটফ্রাইড ভন লিবনিজের যন্ত্রেকে জনপ্রিয়তা দেন ।


[ অনেকের দাবি , চার্লজ ব্যাবেজের পূর্বে কেউ আধুনিক কম্পিউটার আবিষ্কারের জন্য বিন্দুমাত্রও অবদান রাখতে পারেন নি । পূর্বের তৈরি যন্ত্রগুলো কম্পিউটার নয় । সেগুলোর ক্ষমতা আজকালকার ক্যালকুলেটারের মতোও ছিলো না । তবে তাদের আগ্রহ , তাদের পরিশ্রম , তাদের পরিকল্পনা , তাদের স্বপ্ন ছাড়া কখনোই আধুনিক কম্পিউটার তৈরি সম্ভব ছিল না । ]


চার্লজ ব্যাবেজ ডিফারেন্স মেশিন আবিষ্কারের পর এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন আবিষ্কারের দিকে ঝুঁকেন ।


1833 খ্রিস্টাব্দে চার্লজ ব্যাবেজের সাথে এ্যাডা লাভলেসের সাক্ষাৎ হয় । ব্যাবেজ যখন তার এনালিটিক্যাল এঞ্জিন সম্পূর্ণ করে কম্পিউটার আবিষ্কারের নেশায় মত্ত , তখন অ্যাডা তার গণিতবিষয়ক বিশ্লষণী ক্ষমতার দ্বারা বুঝতে পেরেছিলেন । তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে, এই যন্ত্রটি শুধুমাত্র গাণিতিক গণনার চেয়ে অনেক বেশি কিছু করতে সক্ষম ।


তিনি অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনের জন্য একটি অ্যালগরিদম তৈরি করেন । যা পরবর্তীকালে বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম হিসেবে স্বীকৃত হয় । এজন্য অ্যাডা লাভলেসকে বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে গণ্য করা হয় ।

অ্যাডা লাভলেস 1852 খ্রিস্টাব্দে জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র 36 বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ।


চার্লস ব্যাবেজ তাঁর জীবনের প্রায় সব অর্থ ব্যয় করেন কম্পিউটার আবিষ্কারের প্রচেষ্টায় । 1837 খ্রিস্টাব্দে তিনি অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনের নকশা তৈরি করেন , তবে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে তিনি তা নির্মাণ করতে পারেননি । 1871 খ্রিস্টাব্দে কম্পিউটার নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন ।



চিত্র : DEFERENCE ENGINE


চিত্র : ANALYTICAL ENGINE


1821 খ্রিস্টাব্দে শিল্পবিপ্লব শুরু হয় । শিল্প বিপ্লবের এক পর্যায়ে ( যখন ) শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ । তখন সামরিক কাজে কম্পিউটারের ব্যবহারের আধিক্যতা লক্ষণীয় । এই যুদ্ধের সময়ই মানুষ প্রথম বুঝতে পেরেছিল তথ্যই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সম্পদ ।


সেই সময় অ্যালেন টুইরিং নামক একজন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী প্রোগ্রামেবল কম্পিউটারের ধারণা দেন । কম্পিউটার বিজ্ঞানের দুটি মৌলিক ধারণার সাথে তার নাম জড়িত ( 1 )  টুরিং টেস্ট ও ( 2 ) টুরিং মেশিন । তিনিই কম্পিউটারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ( Artificial Intelligence ) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত করেন । এজন্য তাকে কম্পিউটারের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক অবহিত করা হয় ।


[ কম্পিউটারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যুক্ত করার কারণে অনেকেই তাকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক অবহিত করে । ]



চিত্র : TURING MACHINE


19 শতকে যখন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা গণনার কাজ শুরু করা হয় তখন অনেকেই ধারণা করেন গণনা কাজ শেষ হতে কমপক্ষে তেরো বছর সময় লাগবে সেই সময়ের মধ্যে পরবর্তী আদমশুমারির সময় চলে আসবে । এর পরিপ্রেক্ষিতে 1885 খ্রিস্টাব্দে ড. হারম্যান হলোরিথ  চার্লস ব্যাবেজের এনালিটিক্যাল ইঞ্জিনের সাথে পাঞ্চ - কার্ডভিত্তিক যান্ত্রিক ট্যাবুলেটর ( উক্ত ট্যাবুলেটর দিয়ে কোটি কোটি উপাত্ত থেকে পরিসংখ্যান দ্রুত ট্যাবুলেট করা যেত ) যুক্ত করে জনসংখ্যার গণনার কাজে ব্যবহার করেন । যার ফলে মাত্র তিন বছরের মধ্যেই জনসংখ্যা গণনার কাজ শেষ হয় ।



চিত্র : TABULATING MACHINE


1911 খ্রিস্টাব্দে তিনি দুটি কোম্পানির সাথে মিলে কম্পিউটিং ট্যাবুলেটিং রেকর্ডিং কর্পোরেশন গঠন করেন । পরে 1924 সালে টমাস জে ওয়াটসনের সভাপতিত্বে কোম্পানিটির নাম বদল করে রাখা হয় আইবিএম ( IBM ) .


1901 খ্রিষ্টাব্দে অ্যান্টিকিথেরা নামক গ্রীক দ্বীপের সমুদ্রগর্ভে একটি রোমান জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় । যার মধ্য থেকে ডুবুরিরা একটি অত্যাধুনিক গণযন্ত্র উদ্ধার করে । ধারণা করা হয় এই গণযন্ত্রটি খ্রিষ্টপূর্ব 100 অব্দের ।  যা পরবর্তীতে অ্যান্টিকিথেরা যন্ত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে । এর কার্য পদ্ধতি অনেকটা ডিজিটাল অ্যানলগ কম্পিউটারের মতো । গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় যে , রোমানরা জ্যোতি বিজ্ঞানের বিভিন্ন গণনার কাজে এই যন্ত্রটি ব্যবহার করতেন ।


পরবর্তীতে জন মশলি এবং প্রেসপার একার্ট দু'জন প্রতিভাবান ইন্জিনিয়ার 1943 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1946  খ্রিস্টাব্দ তিন বছরের প্রচেষ্টায় তৈরি করেন পৃথিবীর সর্বপ্রথম ইলেকট্রিক্যাল কম্পিউটার যার যার নাম এনিয়াক ( ENIAC ) কম্পিউটার ।



চিত্র : ENIAC COMPUTER


একই সময়ে IBM কম্পিউটার কোম্পানি এবং জর্জ হাওয়ার্ড এইকিন যৌথভাবে চার্লজ ব্যাবেজের এনালিটিক্যাল ইঞ্জিনের ভিত্তিতে 1833 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1846 খ্রিস্টাব্দ দীর্ঘ সময়ের প্রচেষ্টায় তৈরি করেন পৃথিবীর সর্বপ্রথম সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক্যাল কম্পিউটার যার নাম MARK - 1 . এটিই ছিল ব্যাবেজের এনালিটিক্যাল ইঞ্জিনের প্রথম বাস্তব রুপ । যা এনিয়াকের থেকে কিছুটা ছোট এবং অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ।


এজন্যই ( ঐ সময় থেকে ) চার্লজ ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক আর জর্জ হাওয়ার্ড এইকিন কে কম্পিউটারের আবিষ্কারক ( বা জনক ) হিসেবে অভিহিত করা হয় । পরবর্তীতে একুশ শতকে ব্যাবেজের এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন এর ভিত্তিতে একটি আধুনিক কম্পিউটার আবিষ্কার করা হয় যার গঠন কাঠামো বর্তমান সময়ের কম্পিউটার গুলোর মতোই ।


এর উপর ভিত্তি করেই চার্লস ব্যাবেজকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক এবং জর্জ হাওয়ার্ড এইকিনকে কম্পিউটারের জনক অবহিত করা হয় ।



চিত্র : MARK ONE COMPUTER


1940 খ্রিষ্টাব্দে জন ভন নিউম্যান ( একজন হাঙ্গেরিয়ান গণিতবিদ ) একটি নিবন্ধে কম্পিউটার যন্ত্রের জন্য বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ব্যবহার এবং কম্পিউটার যন্ত্রের অভ্যন্তরে ডেইটা সংরক্ষণের ধারণা দেন । এর ভিত্তিতে 1946 খ্রিষ্টাব্দে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মরিস উইলক এবং তার দল EDSAC কম্পিউটার আবিষ্কার করেন ।


এজন্যই অনেকে জন ভন নিউম্যানকে আধুনিক কম্পিউটারের আবিষ্কার অবহিত করে থাকে ।


1944  খ্রিষ্টাব্দে ENIAC এর আবিষ্কারক জন মসলি এবং প্রেসপার্ট একার্ট EDVAC কম্পিউটার আবিষ্কারের প্রস্তাবনা দেন ।



চিত্র : EDSAC COMPUTER


1948 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী বারডিন , ব্রাটান এবং শকলি ট্রানজিস্টর আবিষ্কার করেন । এরপর ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট আবিষ্কৃত হলে কম্পিউটারের আকার ছোট হয়ে যায় । এবং এর গুণগত মান ও কাজের গতি বেড়ে যায় । যার ফলশ্রুতিতে , বাল্ব নির্ভর এনিয়াক এবং মার্ক ওয়ানের পরিবর্তে তখন শুরু হয় ট্রানজিস্টরের ব্যবহার ।



চিত্র : TRANSISTOR


1951 খ্রিস্টাব্দে প্রথম বাণিজ্যিক ইলেক্ট্রিকাল কম্পিউটার তৈরি হয় । যার নাম ছিল UNIVAC - 1 . কম্পিউটারটি দিয়ে গণনার কাজ ছাড়াও তথ্য পড়া এবং লেখার কাজ করা যেত ।



চিত্র : UNIVAC - 1 COMPUTER


1958 খ্রিস্টাব্দের মাধ্যমিক পর্যায়ে জ্যাক কিলবি সিলিকন চিপ আবিষ্কার করেন । তখন সিলিকন চিপের ছোট্ট একটি টুকরোতে অসংখ্য ট্রানজিস্টরের ব্যবহার করা হতো । এই সকল ট্রানজিষ্টর গুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে তৈরি করা হয় অতি সুরু পথ , যাকে বলা হয় সার্কিট । এই সার্কিট সংযোজনের মাধ্যমের নাম দেওয়া হলো ইনটিগ্রেটর সার্কিট বা ( IC ) . তখন প্রস্তুতকারগণ IC দ্বারা কম্পিউটার প্রস্তুতে উৎসাহী হয়ে উঠেন  । পরে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট আরো অনেক উন্নয়ন করা হয় । 1971 খ্রিস্টাব্দে ছোট্ট একটুকরো সিলিকন চিপের উপর দিকে অনেকগুলো আইসি বসানো সম্ভব হয় । আর এই চিপের নাম দেওয়া হলো মাইক্রোপ্রসেসর । বর্তমান সময়ের আধুনিক কম্পিউটার গুলো এই মাইক্রোপসেসরের উপর নির্ভরশীল ।



চিত্র : SILICON CHIP


চিত্র : IC


চিত্র : INTEL 4004 ( MICROPROCESSOR )



সময়ের ব্যবধানে কম্পিউটারের আকার ক্রমশ ছোট হতে থাকে । শুরু হয় মাইক্রো কম্পিউটার ( MICRO COMPUTER ) পথ তৈরির যাত্র  । যার অপর নাম পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি । এক সময় যে কম্পিউটার রাখতে প্রয়োজন হতো বিশাল এক হল রুমের সেই কম্পিউটার রাখা যেত ছোট একটি ডেস্ক বা টেবিলের উপর । আর এই কম্পিউটারকে আমরা ডেস্কটপ হিসেবে জানি । আস্তে আস্তে তা ল্যাপ বা কোলের উপর রাখা সম্ভব হয় । যা ল্যাপটপ হিসেবে পরিচিত । পরবর্তীতে ট্যাবলেট পিসি নামক কম্পিউটার তৈরির কাজ শুরু হয় তা হাতের মুঠোয় রাখা সম্ভব ছিল । পরে এমন কম্পিউটার তৈরি করা হয় যা মানুষ পকেটে নিয়ে ঘুরতে পারত । যা স্মার্টফোন হিসেবে পরিচিত । এটি মোবাইল কম্পিউটারের সর্বো উন্নত এবং সর্বশেষ সংস্করণ ।

[ বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনকে সর্বশেষ কিংবা সর্বো উন্নত সংস্করণ বলা যাবে না ]



চিত্র : DESKTOP


চিত্র : LAPTOP


চিত্র : TABLET PC


চিত্র : SMARTPHONE


আকারে ছোট হলেও এরা ক্ষমতার দিক থেকে আগের কম্পিউটারগুলোর তুলনায় অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন ।


গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য :


কম্পিউটারের জনক কে ? এই প্রশ্নটির উত্তরে একজন ব্যাক্তির নাম কখনোই উল্লেখ করা যাবে না । কারণ এর সাথে শত শত নাম জড়িত রয়েছে । অনেকেই বলে কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজ এবং আধুনিক কম্পিউটারের জনক অ্যালেন টুরিং কিংবা জন ভন নিউম্যান কিংবা অন্যান্য । আসলে এর সবই ভূল তথ্য , পাশাপাশি এসব সঠিক তথ্যও । কম্পিউটারের জনক কে এর উত্তরে সবাই নিজের মতো করে বিভিন্ন নাম উল্লেখ করে । এজন্যই , এই তথ্য গুলো গ্রহণযোগ্য নয় ।

তবে সাধারণত , চার্লস ব্যাবেজকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক , অ্যালেন টুরিংকে কম্পিউটারের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক এবং জর্জ হাওয়ার্ড এইকিন কে কম্পিউটারের আবিষ্কারক ( বা জনক ) অবহিত করা হয় ।


[ অসম্পূর্ণ - খুব শীঘ্রই ব্লগটি সম্পূর্ণ করা হবে ]

[ অসম্পূর্ণ - DEVELOPER SUGGESTION LLC এই ব্লগটি অসম্পূর্ণ হিসেবে গণ্য করছে । এবং দ্রুত এটি সম্পূর্ণ করতে কাজ করছে ]


© DEVELOPER SUGGESTION LLC