টর হলো টর প্রজেক্ট ইনকর্পোরেটেড দ্বারা ডেভেলপকৃত একটি প্রাইভেট ওয়েব ব্রাউজার । টর সর্বপ্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর গবেষণাগারে ডেভেলপ করা হয় । পরবর্তীতে 2004 সালে এটি ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশন ( ইএফএফ ) এর প্রকল্পে পরিণত হয় ।

চিত্র : TOR BROWSER


সাধারণত ডার্ক ওয়েব অ্যাক্সেসের জন্য টর ব্রাউজার ব্যবহৃত হয় । যা মূলত তৈরি করা হয়েছিল মার্কিন গোয়েন্দাদের অনলাইন যোগাযোগ রক্ষায় সহায়তার জন্য । সিকিউর ব্রাউজারের মধ্যে টর ব্রাউজার অনত্যম । টর ব্রাউজারের সিকিউরিটি সিস্টেম অনেক জোরালো ।


চিত্র : DARK WEB

টর ব্রাউজার দিয়ে ব্রাউজিং করলে আপনি অনেকটা সুরক্ষিত থাকবেন । আপনাদের মধ্যে যারা গোপনীয়তা বজায় রাখতে ভিপিএন ব্যবহার করেন তাদের জন্য টর ব্রাউজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কারণ টর ব্রাউজারে ভিপিএন এর মতো তিনটি সিকিউরিটি সিস্টেম থাকে এবং তিনটি সিকিউরিটি সিস্টেম তিনটি ভিন্ন ভিন্ন আইডেনটিটি তৈরি করে । এবং এক আইডেনটিটি অন্য আইডেনডিটি সম্পর্কে জানতে পারে না । যার ফলে আপনি কে কোন অবস্থান ( লোকেশন ) থেকে ব্রাউজিং করছেন তা সম্পর্কে আপনার আইএসপি ( ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ) জানতে পারে না । গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে টর ব্রাউজারের ভূমিকা অপরিসীম ।


চিত্র : VPN


এন্ড্রয়েড , উইন্ডোজ , লিনাক্স এবং ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের জন্য টর ব্রাউজারের আলাদা সংস্করণ রয়েছে ।


টর ব্রাউজার আইপি এড্রেস গোপন রেখে অজ্ঞাত আইডেনটিটি দ্বারা ব্রাউজিংয়ের সুবিধা দেয় , উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট নিশ্চিত করে । এছাড়াও টর ব্রাউজার ইংরেজি ছাড়াও বেশ কয়েকটি ভাষায় ব্রাউজিংয়ের সুবিধা দেয় । এবং টর ব্রাউজার সম্পূর্ণ ফ্রী ব্যবহার করা যায় ।


তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইটগুলোতে প্রবেশের ক্ষেত্রে টর ( কিংবা ভিপিএন ) ব্রাউজার ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই শ্রেয় । বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ইউজারদের সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বেশ কিছু কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড যোগ করেছে । ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইটগুলো আইপি এড্রেস এবং অবস্থানের ( লোকেশন ) পরিবর্তন দেখলেই একাউন্ট ডিসেবল করে দেয় । পরবর্তীতে একাউন্ট ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে একাউন্টটি পুনরায় এক্টিভ করতে হয় । আর একাউন্ট ভেরিফিকেশনে একটু গরমিল হলেই তা চিরদিনের জন্য হারাতে হতে পারে ।


চিত্র : SOCIAL MEDIA


© DEVELOPER SUGGESTION LLC